রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের সারাংপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।বুধবার রাতে নাগরপুর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এ ঘটনায় ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে গত সোমবার ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় ধর্ষকসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ ধর্ষণের সহায়তাকারী সুমন মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া পাছ ইরতা গ্রামের আবুল হাসেম ওরফে ননী মিয়ার ছেলে।মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতে আদালতের মাঠ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের পাছ ইরতা গ্রামের মেয়ে ৯ শ্রেণি ছাত্রী পাশের বাড়ির এমদাদ মাস্টারের ভবনের নির্মাণ শ্রমিক মাসুদকে সাথে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর একই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে তাদের দেখা হয়। বেড়ানোর কথা বলে রহমান ওই স্কুলছাত্রী ও মাসুদকে মোটরসাইকেলযোগে সারাংপুর নিয়ে যায়। এরপর মাসুদকে ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে রহমান ওই মেয়েটিকে সারাংপুর চকে (মাঠ) নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীকে বিষয়টি না বলার জন্য হুমকি দেয়। গত ২২ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ৭ জনের নামে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলার পর এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এদিকে ওই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় মূল আসামিসহ বাকিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি (তদন্ত)।
Leave a Reply